চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার ও উপকারিতা
প্রিয় পাঠক আপনি কি নিম পাতার উপকারিতা ও ব্যবহার সমন্ধে জানতে চাচ্ছেন,তাহলে আপনি ঠিক জাইগাই এসেছেন। এই আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পরলে আপনি জানতে পারবেন নিম পাতার বিভিন্ন উপকারিতা ও ওষধি গুনাবলি।
তাহলে চলুন যেনে নেওয়া যাক নিমপাতা কিভাবে ব্যবহার করতে হই এবং কি কি উপকারিতা আছে সে বিসয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
নিচের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন
অনেক মানুষ চুলকানি বা বিভিন্ন চর্মরোগে ভুগেন। আপনারা হইত জানেন না নিমপাতা ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ ভাল হয়।এছারাও অনেক উপকরন আছে এই নিমপাতাই। নিমপাতা ব্যবহারে চুল পড়া বন্ধ ও খুসকি মুক্ত হয়। এছারাও নিমপাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপাই সম্পর্কে জানতে চাইলে আপনাকে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পরুন। এই আর্টিকেলে সমস্ত বিষয় গুলো ভালভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নিই নিমপাতার ব্যবহার ও উপকারিতা সমন্ধে।
এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার
আমরা নিম গাছকে ঔষধি গাছ হিসেবে বিবেচনা করে থাকি। কেননা নিম গাছের পাতায় বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন থাকে। আমাদের ছোট বড় সব বয়সের মানুষের এলার্জির সমস্যা হয়ে থাকে। এলার্জির কারণে আমাদের প্রিয় খাবারগুলো খেতে পারি না। যেমন: গরুর মাংস হাঁসের মাংস চিংড়ি মাছ পুটি মাছ ইলিশ মাছ বেগুন পুঁইশাক ইত্যাদি আরো অনেক খাবার আছে এলার্জির কারণে আমরা খেতে পারি না। এই খাবার গুলো খেলে শরীরে চুলকানি বা এলার্জি ভাব দেখা দেয়। এবং শরীরে সে সময় চুলকাতে থাকে। এলার্জি দূর করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকি সেসব ওষুধগুলো আমাদের শরীরে উপকারের পাশাপাশি ক্ষতিসাধন করে থাকে। এখন আমরা জানবো কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে এলার্জি দূর করা যায় সে সম্পর্কে। এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার অপরিসীম। নিম পাতা ব্যবহারের ফলে এলার্জি দূর করা সম্ভব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক নিমপাতা দিয়ে কিভাবে এলার্জি ভালো করা যায়।
- প্রথমে গাছ থেকে নিমপাতা পেড়ে নিতে হবে
- পাতাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে
- রৌদ্রে পাতাগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে
- ব্লিন্ডার বা পাতায় পাতাগুলো গুঁড়ো করে নিতে হবে
- এরপর পাতার গুড়ো গুলো একটি ভালো পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে
- এখন আমরা জানবো নিম পাতার গুরু কিভাবে ব্যবহার করতে হবে
- এক চা চামচ এর তিন ভাগের এক ভাগ মত নিম পাতার গুড়ো নিতে হবে
- এরপর এক চা চামচ ইসুবগুলের ভুষি ও নিম পাতার গুঁড় নিয়ে একটি গ্লাসে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে
- এরপর সকালে বা রাতে মিশ্রণটি পান করতে হবে
- এভাবে একটানা এক মাস খেলে শরীরের এলার্জি অনেকটাই কমে যাবে
চুলকানিতে নিম পাতার ব্যবহার
আমাদের প্রায় কম বেশি মানুষের চুলকানির সমস্যা হয়ে থাকে। চুলকানির কারণে অস্বস্তিকর লাগে। বিভিন্ন সময় চুলকানি ওঠে তখন খুব খারাপ লাগে। যখন চুলকানি ওঠে তখন চুলকাতে ভালোই লাগে। তারপর দেখা যায় সেই চুলকানো জায়গায় ঘা হয়ে গেছে। এখন আমরা জানব কিভাবে নিমপাতা ব্যবহার করে অস্বস্তিকর চুলকানি হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আপনি যদি নিমপাতা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার চুলকানি সহজে দূর হয়ে যাবে। আপনি হয়তো জানেন আদিকাল থেকে নিম পাতা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
এই নিমপাতা ব্যবহারের ফলে শুধু চুলকানি না আরো বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ ভালো হয়। চুলকানির জন্য নিমপাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন। প্রথমে নিমপাতা সংগ্রহ করতে হবে তারপর হালকা কুসুম গরম পানি করে নিতে হবে। এরপর সে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিতে হবে। এভাবে কয়েকদিন গোসল করলে আপনার চুলকানি দূর হয়ে যাবে এছাড়াও চুলকানি ব্যয় তো আরো বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যাবে নিমপাতা ব্যবহার করলে।
মুখে নিমপাতা ব্যবহারের উপকারিতা
নিম পাতা এবং কাঁচা হলুদ প্রাকৃতিক ভাবে এর গুনাগুন অনেক। নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ ত্বকের যত্নে ব্যবহার করলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। এটি ব্যবহারের ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া অনেক উপকারিতা আছে যেমন মুখের ব্রণ বয়সের চাপ ত্বকের মসৃণতা কালচে ভাব এলার্জির মতো সমস্যা ভালো হয়। তো চলুন জেনে নেয়া যাক নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ কিভাবে একটি ফ্যাসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করবেন।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের উপকরণ
- পরিমাণ মতো নিমপাতা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে
- একটা কাঁচা হলুদ নিতে হবে
- ১-২ চা চামচ মুলতানি মাটি নিতে হবে
- এক চা চামচ মধু নিতে হবে
কিভাবে ফেস প্যাক তৈরি করবেন
- প্রথমে একটি পাত্র নিতে হবে
- নিমপাতা বাটা গুলো দিতে হবে
- এক চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা
- দুই চা চামচ মুলতানি মাটি
- এক চা চামচ মধু দিয়ে ভালোভাবে এটি মিক্স করতে হবে
এভাবে আপনি সবকিছু উপকরণ দিয়ে একটি ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক বৃদ্ধি পাবে।
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমার এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এরকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করুন।
এ আর্টিকেলটি পরে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ পাশে থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url