কাঁঠালের উপকারিতা ও অপরিকতা- পুষ্টি গুনাগুন

 কাঁঠাল আমাদের দেশের জাতীয় ফল। কাঁঠালের বৈজ্ঞানিক নাম artocarpus heterophyllus এবং ইংরেজি নাম jackfruit। কাঁঠাল হলুদ বর্ণের এক ধরনের সুমিষ্ট গ্রীষ্মকালীন ফল। গ্রামবাংলায় প্রায় সর্বত্রই কাঁঠাল গাছ দেখতে পাওয়া যায়। এই ফলটি দেখতে অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেক বড় হয়ে থাকে। কাঁঠাল একটি স্বাস্থ্যকর ফল ও পুষ্টিগুণে ভরপুর।


আজকে আমরা জানবো কাঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ সম্বন্ধে। তাই আপনারা যারা এ বিষয়গুলো সম্বন্ধে জানেন না তারা অবশ্যই এই আর্টিকেলের অংশটুকু পড়ে জানতে পারবেন।

নিচের যে অংশ পরতে চান ক্লিক করুন

কাঁঠাল খাওয়ার উপকারিতা 

গ্রীষ্মকালে অন্যান্য ফলের তুলনায় কাঁঠাল একটি অন্যতম। কাঁঠাল শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। কাঁঠালের উপকারিতা সম্বন্ধে আমাদের অনেকেরই জানা নেই। কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও পুষ্টিগুণে ভরা রয়েছে। কাঁঠালের পুষ্টিগুণ গুলো শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁঠালের উপকারী দিকগুলো।

১. কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। যা আমাদের দৃষ্টিশক্তিকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।

২. ফাইবারের ভালো একটি উৎস আছে কাঁঠালে। যা কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় কাঁঠাল খেলে। 

৩. কাঁঠালের থাকা এক ধরনের উপকারী উপাদান যা আলসারের সমস্যা প্রাকৃতিক উপায়ে ভালো করতে সাহায্য করে। 

৪. বেশ কয়েক ধরনের এন্টিঅক্সিডেন্ট উৎস পাওয়া যায় কাঁঠালে। এসব উপাদান হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

৫. পাঠালে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাই। 

৬. কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এই ফলটি নিয়মিত খেলে ত্বক ভালো থাকে ও ত্বককে রোদের ক্ষতিকর ভাব থেকে রক্ষা করে। 

৭. কাঁঠাল খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরা থাকে। ফলে খাবার কম খেতে হয় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

৮. এখন খেলে ক্যান্সারের রোগী কমে কারণ কাঁঠালই থাকা শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের দেহকে ক্ষতিকর ফ্রিরোডিক্যালস থেকে রক্ষা করে। 

৯. কাঁঠালের থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম ঘাড়ের গঠনে সাহায্য করে। পাশাপাশি হাড় শক্তিশালী রাখতে সহায়তা করে।

১০. এই ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এখনই উপাদান রক্তস্বল্পতা দূর করতে সাহায্য করে।

কাঁঠালের পুষ্টিগুণ 

কাঁঠাল পুষ্টি সমৃদ্ধ। এতে আছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম,আয়রন,সোডিয়াম এবং নায়াসিন সহ বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান। অন্যদিকে কাঠালে প্রচুর পরিমাণে আমিষ শর্করা ও ভিটামিন থাকায় মানব দেহের জন্য উপকারী কাটালে চর্বির পরিমাণ একদম কম। 

কাঁঠাল খাওয়ার অপরিকতা 

কাঁঠাল খেলে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না। তবে কাঁঠাল খাওয়ার পরে এমন কিছু ফল খাবার আছে যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর চলুন দেখে নেই সেগুলো কি 

পেঁপে: কাঁঠাল খাওয়ার পরে পেঁপে খেলে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের অ্যালার্জি আছে তারা কাঁঠাল খাওয়ার পরে পেঁপে না খাওয়াটাই উচিত। 

দুধ: কাঁঠাল খাওয়ার পরে দুধ খাওয়া ঠিক নয়। কারণ পেট ফাপতে পারে বা তোকে ফুসকুড়ি আবার অনেকের সাদা দাগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

ঢেঁড়স: কাঁঠাল খাওয়ার পরে ঢেঁড়সের তরকারি খাওয়া উচিত নয়। এতে করে পায়ে ব্যথা ও পেটে গ্যাস হতে পারে।

লেখক এর মন্তব্য 

প্রিয় পাঠক আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে কাঁঠালের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কাঁঠাল খেলে কি কোন ক্ষতি হয় এ বিষয়ে একটি সম্পূর্ণ ধারণা দিতে পেরেছি। আর্টিকেলটি পরে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কারণ শেয়ার করলে আপনার বন্ধুরাও এ বিষয়ে জানতে পারবে। 

এরকম আরো আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েব সাইটে নিয়ে নিয়মিত ভিজিট করুন। এ আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে সেটা জানাবেন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url